আদিনাথ মন্দিরঃ
বহু স্মৃতি বিজড়িত আদিনাথ মন্দির। আধুনিক ছোঁয়ার কিছু কিছু নিয়ম বিলুপ্ত হলেও কালের স্বাক্ষী হিসাবে তার ঐতিহ্য এখনো অক্ষুন্ন রয়েছে। দ্বীপ মহেশখালীতে আদিনাথ মন্দির অবস্থিত। আদিনাথ যাত্রাও আবার বেশ রুমাঞ্চকর। কক্সবাজার শহরে কচ্চুরাঘাট থেকে ইঞ্জিন বোটে ১ ঘন্টা এবং স্পীড বোটে ১৫ মিনিটের সমুদ্র যাত্রা। ইঞ্জিন চালিত নৌকা স্পীডবোটে গোরকঘাটা ঘাটে গিয়ে নামতে হয়। ভাটার সময় হাটু পানিতে নৌকা থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। আধা মাইল পাকা এক মাইল কাচা রাস্তার পানি কাঁদা পেরিয়ে পাহাড় আদিনাথে চড়লে তবে মন্দির আদিনাথের দর্শন পাওয়া যাবে।
শ্যামল সবুজ বৃক্ষরাজিতে ঢাকা এই আদিনাথ পাহাড় সমুদ্রের পাড়ে পাহাড়ের উপর এই আদিনাথ মন্দির। দীর্ঘ পাকা সিড়ি বেয়ে উঠতে হয়। মন্দিরের পিছনে সমুদ্রের দিকে হেলানো একটি কবরী গাছ আছে। তিন দিকে সমুদ্র, বাকী একদিকে পাহাড় বেষ্টিত এই মন্দির।
মন্দির ছোট কিন্তু বেশ পুরানো। মন্দির সেবায়তের দাবী দেশের সবচেয়ে পুরানো শিব মন্দির এটাই। পাহাড়ের উপরে অবস্থিত বলে বাধানো সিড়ি বেয়ে উঠতে হয়। সিড়ির মুখে গেইট, গেইট পেরোলেই খোলা চত্বর নাট মন্দির এবং এর পরে সাদা একতলা দালানের পাশাপাশি ৬টি ঘরে মন্দির ও অষ্টভুজার বিগ্রহ মূর্তি। শিবের ১০৮টি নামের মধ্যে আদিনাম- আদিনাথ, তার নামে মন্দির।শিবের প্রতীক শিব লিঙ্গ রয়েছে আদিনাথ মন্দিরে। অষ্টভূজার মন্দিরে রয়েছে শ্বেত পাথরেছোট অষ্টভূজার মূর্তি। পূর্বে যা নেপালরাজ দরবার ছিল। মূল মন্দির প্রায় ৫০০ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমান ভবন ও অষ্টভুজার মন্দির স্থাপিত হয় প্রায় তিনশত বৎসর পূর্বে নেপাল রাজ্যের সহয়তায়।আ;নিাথ
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS